সুস্বাস্থ্যের জন্য সেরা ১২টি হেলথ টিপস


১. সকালের নাস্তা ছাড়বেন না:
আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে যে কাজগুলো করতে পারেন সেগুলোর মধ্যে একটি হলো সময়মতো সকালের নাস্তা করা। নাস্তা না করলে উল্টো ওজন বেড়ে যেতে পারে। একটা স্বাস্থ্যকর নাস্তার উদাহরণ হতে পারে: ফল, কর্ণ ফ্লেক্স, টোস্ট, ডিম এবং দুধ।

২. ঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ করুন:
অনেকেই জানেন না কীভাবে ঠিকমতো ব্রাশ করতে হয়। এতে দাঁতের এবং মাড়ির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পেন্সিল ধরার মতো করে টুথব্রাশ ধরুন এবং অন্তত ২ মিনিটের জন্য ব্রাশ করুন। দাঁত, মাড়ি, জিহ্বা সবকিছু ব্রাশ করতে হবে। নিয়মিত ডেন্টিস্ট এর কাছে যান।

৩. বিড়ালকে অনুকরণ করুন:
সকালে ঘুম থেকে উঠার পর কিছুক্ষণ স্ট্রেচিং করুন। এতে ব্লাড সার্কুলেশন তাড়াতাড়ি হবে, পরিপাকতন্ত্র কাজ করা শুরু করবে এবং ব্যাক পেইন কমে যাবে।

৪. নিজ ধর্মে মনোযোগ দিন: 
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণা অনুযায়ী ধর্মীয় বিশ্বাস এবং কাজ মানুষের মনকে প্রফুল্ল রাখে।

৫. পেঁয়াজ, রসুন গ্রহণ করুন:
পেঁয়াজ, রসুনে আছে সেই সকল উপাদান যেগুলো শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এরা ব্লাড প্রেসার ও কোলেস্টরল কমায় এবং অনেক রোগের সম্ভাবনাও দূর করে। কেপ টাউনের চাইল্ড হেলথ্ ইন্সটিটিউট এর রিসার্চ অনুযায়ী কাঁচা রসুন চাইল্ডহুড ইনফেকশন রোধে ভূমিকা রাখে। তাপে আবার এদের গুনাবলি নষ্ট হয়ে যায়। তাই কাঁচা খাওয়াই ভালো।

৬. হাঁড়ের যত্ন প্রতিদিন:
দুধ বা দই থেকে আপনার প্রতিদিনকার প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে পারেন। এতে আপনার অস্থি শক্তিশালী হবে। ৩০ বছর বয়সের পরে আপনার অস্থির ঘনত্ব কমতে থাকে। একদম কম করে হলেও প্রতিদিন অন্তত ২০০ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম দরকার।

৭. পরিমিত মসলাযুক্ত খাবার গ্রহণ:
ঝাল, মসলাদার খাবার গ্রহণে এনডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন ব্যাথা দূর করে এবং ব্যায়ামের পর ভালো অনুভূতি দান করে। তবে, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবারের গ্রহণ পরিমিত সীমার মধ্যে রাখা উচিত।

৮. ক্যান্সার প্রতিরোধে টমেটো:
টমেটোতে আছে লাইসোপিন, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও, এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আর শুধু কাঁচা টমেটোই না, রান্না করা টমেটোও অনেক পুষ্টিকর।

৯. পর্যাপ্ত ভিটামিন সি গ্রহণ:
প্রতিদিন আমাদের অন্তত ৯০ মি.গ্রা. ভিটামিন সি দরকার। ফ্রেশ ফলমূল আর শাকসবজি গ্রহণ করলেই এই চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। কমলা আর পেয়ারা ভিটামিন সি এর ভালো উৎস হতে পারে।

১০. ফলিক এসিড গ্রহণে অবহেলা নয়:
যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের এবং গর্ভবতী মহিলাদের নিয়মিত ফলিক এসিড গ্রহণ করা উচিৎ। ফলিক এসিড গর্ভজাত বাচ্চাদের স্পাইনা বিফিডা হওয়ার থেকে বাঁচায়। ক্যান্সার প্রতিরোধেও এর ভূমিকা আছে। ফলিক এসিড পাওয়া যায় সবুজ শাকসবজি, ফল এবং কলিজায়।

১১. ভিটামিন এ কে ভুলে যাওয়া যাবে না:
ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন মানব শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। ভিটামিন এ এর উল্লেখযোগ্য উৎসগুলো হল: কলিজা, দুগ্ধজাত পণ্য, সবুজ এবং হলুদ শাকসবজি, আম ইত্যাদি।

১২. পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ:
ব্যায়ামের সময় কোনোভাবেই সফট্ ড্রিংকস্ বা এনার্জি ড্রিংকস্ খাওয়া উচিৎ নয়। বরং, শরীর হাইড্রেটেড রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। জিমের ছোটো ছোটো এক্সারসাইজ সেশনে এনার্জি ড্রিংকস্ পান করলে শরীর ড্রিংকস্ থেকে পাওয়া গ্লুকোজ আগে বার্ন করবে। অর্থাৎ কষ্টের ব্যায়াম করার পরও আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে না।

 

আমাদের ফেসবুক পেজ